Banner Ads

যে সহজ আমলে হজ্ব ও ওমরাহ করার সাওয়াব পাওয়া যায়

দয়াময় আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য এমন কিছু পথ রেখেছেন, যেগুলো দ্বারা বান্দা হজ্বের অথবা ওমরার সওয়াব লাভ করতে পারে। আমরা যদি বিশ্বাস এবং সওয়াবের দৃঢ় আশা নিয়ে এসব আমল করতে পারি, তবে অনেক প্রতিদানের অধিকারী হতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমলগুলো হল :


যে আমলের দ্বারা হজ্ব ও ওমরাহ র সাওয়াব পাওয়া যায় 


১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর তাসবীহ আদায় করা। 

হযরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন : দরিদ্র সাহাবীরা নবী করিম ﷺ এর নিকট এসে আরযি পেশ করল, ধনাঢ্য সাহাবীরা উচ্চ মর্যাদা এবং চিরস্থায়ী নিআমত নিয়ে যাচ্ছেন! আমরা নামায পড়ি, তারাও পড়েন! আমরা রোযা রাখি, তারাও রাখেন! উপরন্তু তাদের রয়েছে অতিরিক্ত সম্পদ। ফলে তারা হজ্ব করেন, ওমরাহ করেন, জিহাদ করেন এবং দান-সদকা করেন! (আমরা এসব করতে পারি না।)


নবীজী ﷺ তাদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদের এমন একটি আমল শিখিয়ে দেব না, যা করতে পারলে তোমরা অগ্রগামীদের স্তরে পৌঁছে যাবে এবং যারা তোমাদের পেছনে তারা তোমাদের স্তরে পৌঁছতে পারবে না এবং তোমরা হবে বর্তমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব। তবে কেউ এই আমল করলে সেটা ভিন্ন বিষয়। তোমরা প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদু লিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে। তাহলেই এ ফযীলত লাভ করবে। 

(সহীহ বুখারী ৮৪৩)


• কুরআন কি আমার সব সমস্যার সমাধান?


২. ফজরের নামাযের পর সূযোর্দয় পর্যন্ত মসজিদে বসে যিকির করতে থাকা, এরপর দুই রাকাত নামায পড়া। 

আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, ﷺ ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে ফজরের নামায আদায় করল, তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে বসে আল্লাহর জিকির করল, এরপর দুই রাকাত নামায আদায় করল, সে ব্যক্তি হজ্ব ও ওমরার সওয়াব নিয়ে ফিরল।

( মুজামে কাবীর, তবারানী, হাদীস ৭৭৪১)


৩. ফরয নামাযের জন্য মসজিদের উদ্দেশে বের হওয়া। 

আবু উমামা রা. বর্ণনা করেন, নবী কারীম ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি অজু করে ফরয নামাযের উদ্দেশ্যে নিজের ঘর থেকে বের হয় সে হজ্ব আদায়কারীর মত সওয়াব লাভ করে। আর যে ব্যক্তি শুধু পূর্বাহ্নের নামায (চাশতের নামায) আদায়ের উদ্দেশ্যে কষ্ট করে মসজিদে যায়, সে ওমরা আদায়কারীর মত সওয়াব লাভ করে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২৩০৪)


• ১০ লাখ নেকি অর্জন ও ১০ লাখ গুনাহ মাফের দোয়া


৪. দ্বীন শেখা বা শেখানোর লক্ষ্যে মসজিদে গমন করা।

আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি মসজিদে গেল কোনো ভালো কথা শেখা বা শেখানোর উদ্দেশ্যে, সে পরিপূর্ণরূপে হজ্ব আদায়কারীর ন্যায় সওয়াব লাভ করবে। 

(মুজামে কাবীর, তবারানী, হাদীস ৭৪৭৩)


৫. তাকওয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে পিতা-মাতার খেদমত করা। 

আনাস রা. বলেন, এক ব্যক্তি নবী কারীম ﷺ এর খেদমতে এসে বলল, আমার জিহাদ করতে খুব আগ্রহ, কিন্তু সামর্থ্য নেই। নবী কারীম ﷺ বললেন, তোমার মা-বাবা দুইজনের কেউ জীবিত আছেন কি? বলল, আমার মা জীবিত আছেন। নবীজী ﷺ বলেন, তাহলে মায়ের সেবা করে আল্লাহর সাথে সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন কর। এটা যদি করতে পার এবং তোমার মা সন্তুষ্ট থাকেন তবে তুমি হজ্ব, ওমরাহ ও জিহাদের সওয়াব পেয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং মায়ের সেবা কর।

(মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ২৭৬০; মুজামে আওসাত, তবরানী, হাদীস ২৯১৫)


আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উক্ত আমলগুলো করার তাওফীক দান করুন এবং এর মাধ্যমে হজ্ব ও উমরার সওয়াব লাভের তাওফীক দিন আমীন।


আরো পড়ুনঃ 

° পাচঁ প্রকার ছেলেকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকা উচিত



Post a Comment

0 Comments